ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল ‘বার্সেলোনা’

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি অধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে বার্সেলোনা সিটি কাউন্সিল ইসরায়েলি সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তেল আবিব-জাফা শহরের সাথে ১৯৯৮ সালের একটি বন্ধুত্ব চুক্তিও স্থগিত করেছে।
স্পেনের ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দল, সেইসাথে বামপন্থী এবং স্বাধীনতাপন্থী দলগুলির সমর্থিত এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক আইন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সাথে সমস্ত সরকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
বার্সেলোনার প্রধান বাণিজ্য মেলার আয়োজক, ফিরা ডি বার্সেলোনাকে ইসরায়েলি সরকার বা অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত বা গাজা সংঘাত থেকে আর্থিকভাবে লাভবান কোনও কোম্পানিকে আমন্ত্রণ না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বার্সেলোনা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছেও একই রকম সুপারিশ করা হয়েছে।
বার্সেলোনার মেয়র জাউমে কোলবোনি কাউন্সিলকে বলেছেন যে, গত দেড় বছরে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট এবং ইসরায়েলি সরকারের সাম্প্রতিক আক্রমণ আমাদের জন্য সম্পর্ক বজায় রাখা অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।
এটিই প্রথমবার নয় যে, বার্সেলোনা শহর প্রশাসন ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালে, তৎকালীন মেয়র আদা কোলাউ একই ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যা পরে কোলবোনির নির্বাচনী জয়ের পর বাতিল করা হয়েছিল।
এই সিদ্ধান্তের বাস্তব প্রভাব সীমিত হলেও, স্পেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে বার্সেলোনার অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠায়। বিশেষ করে এমন একটি শহরে যেখানে বিশ্বখ্যাত ফুটবল ক্লাব এফসি বার্সেলোনা অবস্থিত এবং ইউরোপের শীর্ষ পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি।
এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে বার্সেলোনাকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে—বিশেষ করে গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে।
আরও পড়ুন- গাজায় বর্বর আগ্রাসন: ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করল যুক্তরাজ্য
আন্তর্জাতিক এর আরো খবর

নিউইয়র্কের উদ্দেশে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

ডাকসু নির্বাচনে ‘ট্যাগ’ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে: আসিফ নজরুল

নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ, তবু কোটি টাকার তেল খরচ
