আবারো ফোর্দো পরমাণু কেন্দ্রে নির্মাণকাজ শুরু করেছে ইরান

ফোর্ডো পারমাণবিক কেন্দ্র, যা আনুষ্ঠানিক নাম শহীদ আলী মোহাম্মদী পারমাণবিক কেন্দ্র নামে পরিচিত, ইরানের একটি ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এবং ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন। 'নাতানজ পারমাণবিক কেন্দ্র' এর পরে এটি ইরানের দ্বিতীয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।
স্যাটেলাইট ইমেজিং প্রযুক্তি কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজিসের প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনার নির্মাণ কাজ আবার শুরু হয়েছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে যে, মার্কিন বোমা হামলার পর ইরান ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক নির্মাণ কাজ আবার শুরু করেছে।
২৯শে জুনের স্যাটেলাইট ছবিতে ফোর্ডো স্থাপনার একটি নবনির্মিত রাস্তায় খননকারী এবং ক্রেনের মতো ভারী নির্মাণ সরঞ্জাম দেখা যাচ্ছে। এই রাস্তাটি সেই অঞ্চলকে সংযুক্ত করে যেখানে মার্কিন বাহিনী বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমা ফেলেছিল।
পাহাড়ের ধারে বুলডোজার এবং ট্রাকের মতো আরও নির্মাণ সরঞ্জাম সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কিছু বুলডোজারকেও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।
কেবল পাহাড়ি এলাকায় নয়, স্থাপনার পূর্ব দিকেও নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে, মার্কিন হামলার একদিন পর ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষে সরঞ্জাম কাজ করছে।
পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ডেভিড অলব্রাইট বলেছেন যে, ২৮শে জুনের ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, ইরান সেখানে গর্ত ভরাট, ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের মতো কার্যকলাপ চালাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার পর দাবি করেছেন, "আমরা ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ধ্বংস করেছি।" তবে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি শুক্রবার বলেছেন যে ইরান কয়েক মাসের মধ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুনরায় শুরু করতে পারে।
আরও পড়ুন- ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করার ক্ষমতা নেই ইসরায়েলের
আন্তর্জাতিক এর আরো খবর

নিউইয়র্কের উদ্দেশে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

ডাকসু নির্বাচনে ‘ট্যাগ’ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে: আসিফ নজরুল

নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ, তবু কোটি টাকার তেল খরচ
