ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই ৫৪ শতাংশের
নিউইয়র্কে ৫ মাসে ২ সহস্রাধিক অভিবাসী গ্রেপ্তার
ডেস্ক রিপোর্ট

নিউইয়র্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন বিরোধী অভিযানে নিউইয়র্ক থেকে গত ৫ মাসে রেকর্ডসংখ্যক ২ হাজার ৩৬৫ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টরা চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটি ও আশপাশের এলাকা থেকে এসব অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে। যা বিগত বছর গুলো থেকে অনেক বেশি।
নতুন তথ্যে দেখা গেছে, আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ৫৪ শতাংশের কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। অপরদিকে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের বড় অংশই গুরুতর অপরাধে জড়িত নন। মাত্র ৭ শতাংশ অভিবাসীর বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। অভিযানের ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। রাস্তাঘাটে বা বাসাবাড়িতে হানা দেওয়ার পরিবর্তে এবার ইমিগ্রেশন কোর্ট কিংবা ফেডারেল অফিসে নিয়মিত চেক-ইন এ এসে অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছেন। কেউ কেউ জানতেই পারছেন না যে সেদিনই তাদের আটক করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আইনি প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার প্রশ্নে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্ট ভবনগুলো এখন কার্যত ‘ডিটেনশন জোন’—এ পরিণত হয়েছে। এই অভিযানে বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত, কর পরিশোধকারী এবং পরিবারপ্রধান ব্যক্তিরাও বাদ যাচ্ছেন না। অনেককে লুইজিয়ানা, পেনসিলভানিয়া ও টেক্সাসের মতো দূরবর্তী ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। যেখান থেকে পরিবারের সদস্য বা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করাও কঠিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযান শুধু অপরাধীদের নয়, বরং বৃহৎ সংখ্যক নিরপরাধ, কাগজপত্রহীন অভিবাসীকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয় ও লাতিন আমেরিকান অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। অনেকেই এখন চেক—ইন বা রুটিন কোর্ট হাজিরায় না যাওয়ার কথা ভাবছেন। যদিও তাতে তাদের অবস্থান আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আইনজীবী, মানবাধিকার সংগঠন ও অভিবাসন অধিকারকর্মীরা এই ধরনের অভিযানকে ‘বিচার বহির্ভূত’ এবং ‘নির্বিচার ধরপাকড়’ বলে সমালোচনা করছেন।
তবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র একে ‘সাধারণ জ্ঞান নির্ভর কৌশল’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যা অপরাধী অভিবাসীদের শনাক্ত ও নির্বাসনে সহায়তা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে অভিবাসী পরিবারগুলো এখন ভয়, অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ৯ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী দুই এল সালভাদোরিয়ান ভাইকে নিয়মিত চেক—ইনে গিয়ে গ্রেপ্তারের পর হঠাৎ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘটনা যেন সেই আশঙ্কাকে আরও বাস্তব করে তুলেছে।
আমেরিকা এর আরো খবর

দিদারুল: আত্মত্যাগ—সম্মানে মোড়ানো এক বীর

মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে নিউইয়র্কবাসীকে মেয়র অ্যাডামসের আহ্বান

বন্ধ হয়ে যাবে মাসিক আনলিমিটেড ভ্রমণ সুবিধা / জানুয়ারিতে বাড়ছে নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়ে ও বাস ভাড়া

অভিযুক্ত মেয়র ও পুলিশ কমিশনার / নিউ ইয়র্কের ‘স্যাঙ্কচুয়ারি’ আইনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের মামলা

মামদানি মেয়র হলে নিউইয়র্ক ছেড়ে ফ্লোরিডা চলে যাবো : অ্যান্ড্রু কুওমো
