পরপারে চলে গেলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক (জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে)। বিএ (অনার্স) এবং এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি ১৯৮০ সালে যুক্তরাজ্যের লিংকন'স ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত লন্ডনে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে আসার পর, ১৯৮৬ সালে তিনি আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল কাউন্সেল নামে একটি আইন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একজন সিনিয়র আইনজীবী হন। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ৪ মে, ২০২৫ তারিখে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রাজধানীর সিনা হাসপাতাল। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
রবিবার (৪ মে) তার জুনিয়র আইনজীবী শিশির মনির জানান যে, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বিকেল ৪:১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন।
১১ বছর পর গত (২০২৪ ) বছরের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় ফিরে আসেন। ৬ জানুয়ারি তার জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনাও দেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং জামায়াতে ইসলামীর প্রাক্তন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন দল থেকে পদত্যাগ করেন। এ সময় দলের আমির ড. শফিকুর রহমান এক বার্তায় বলেছিলেন, 'তার পদত্যাগে আমরা শোকাহত ও মর্মাহত। পদত্যাগ যেকোনো সদস্যের স্বীকৃত অধিকার। আমরা প্রার্থনা করি তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, তিনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমরা আশা করি তার সাথে আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ থাকবে।'
এরপর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক নতুন দল আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, ১৭ আগস্ট'২০২৪ সালে তিনি সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি একজন আইনজীবী। আমি একজন কোর্টরুম ব্যারিস্টার। আমি আইনি ক্ষেত্রে অবদান রাখার চেষ্টা করব। আইনের শাসন অনেক বড় বিষয়। যদি আমরা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি, তাহলে আমাদের রাজনীতি সফল হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। তাই আমার বিচরণ হবে আইনি ক্ষেত্রে, আমি আইনি ক্ষেত্রে থাকব। আইনি ক্ষেত্রের মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবা করার চেষ্টা করব।' ’
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। উভয় ছেলেই ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন অনুশীলন করছেন।
বাংলাদেশ এর আরো খবর

আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধকরণে এনসিপি, জনতা, বাংলাদেশ, শহিদ-আহত ও জুলাই যোদ্ধা পরিবারের একাত্মতা প্রকাশ / সরকার যদি আ’লীগের বিচারে ব্যর্থ হয়, জনতার আদালত গঠনের হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের

গণহত্যাকারী সাবেক আইন মন্ত্রী ফ্যাসিস্ট আনিসুল হককে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি

সরকারের সম্প্রসারিত কাজের সুফল পেতে শুরু করেছে সিলেটবাসী / ৬০ টন তৈরি পোশাক নিয়ে সিলেট থেকে প্রথম কার্গো ফ্লাইট গেল স্পেনে

পোপের শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়

শিল্প বিকশিতকরণ এবং উন্নয়নের নতুন ধাপে বাংলাদেশ / দ্রুতই দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে
